নির্বাচনের মাত্র ৪ দিন আগে ফের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় রক্তাক্ত লন্ডন। নিহত হয়েছেন ৬জন। আহত অন্ত:ত ৩০জন। শনিবার রাতে লন্ডন ব্রিজের কাছে দুইটি স্থানে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পুলিশের গুলিতে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার রাত ১০ টার দিকে একটি ভ্যান নিয়ে লন্ডন ব্রিজের কাছে হামলা চালায় তিন সন্ত্রাসী। ঠিক একই সময় বারা মার্কেট এলাকায় ছুড়ি নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর এলোপাতারি হামলা চালায় বেশ কজন সন্ত্রাসী।
এই দুটি স্থানে হামলায় আহত অন্ত:ত ২০ জনকে হাসপাতালে নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। বেশ কজন আহতকে চিকিৎসা দেয়া হয় ঘটনাস্থলে।
দ্য ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশ বলছে, তাদের একজন কর্মকর্তাও গুরুতর আহত হয়েছেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ টুইটে লন্ডন ব্রিজ ও বারা মার্কেটের হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এই হামলাকে ‘ভয়ঙ্কর ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। নির্বাচনী প্রচার স্থগিত রেখে নিরাপত্তা বিষয়ক কোবরা কমিটির জরুরি বৈঠকে বসছেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বিবিসিকে জানান, লন্ডন ব্রিজে হামলার পর তাঁরা ভ্যান থেকে কয়েকজনকে বের হয়ে বারা মার্কেটের দিকে যেতে দেখেছেন। পরে ওই এলাকায় বেশ কটি গুলির শব্দ শোনা যায়। কাছাকাছি সময়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হামলাকারীর একটি ছবি পোস্ট করা হয়। তাতে দেখা যায়, একটি পানশালার বাইরে সন্দেহভাজন এক হামলাকারী মাটিতে পড়ে আছে।
এলাকার পানশালাগুলোর এক নিরাপত্তাকর্মী জানান, তিনি তিনজন হামলাকারীকে চারজনকে ছুরিকাঘাত করতে দেখেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের সবাইকে শান্ত ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।
মেয়র সাদিক খান বলেন, ‘আমরা বিস্তারিত জানি না। তবে লন্ডনের সাধারণ জনগণ ও পর্যটকদের ওপর এটি একটি কাপুরুষোচিত হামলা। শনিবার সন্ধ্যায় আনন্দ করার সময় তাঁদের ওপর এই হামলা চলে।’ তিনি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
এদিকে পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনার আট মিনিটের মধ্যেই পুলিশের গুলিতে হামলাকারিদের তিনজন নিহত হয়েছে।
ম্যানচেস্টারে কনসার্টে আত্মঘাতী হামলার দুই সপ্তাহ পরেই আবার এই হামলার ঘটনা ঘটল। ম্যানচেস্টারের ওই হামলায় ২২ জন নিহত হন।
এরে আগে গত মার্চে ওয়েস্টমিনিস্টার ব্রিজের কাছে জনতার ওপর গাড়ি চালিয়ে দিয়ে হত্যা করা হয় ৫জনকে।
ঘটনার পর অবস্থা
ঘটনার পরই অভিযান শুরু করে ল্ডন কাউন্টার টেরোরিজম কমান্ড। বন্ধ করে দেয়া হয় লন্ডন ব্রিজ। পুলিশের দাবি, খুব শিগগিরই তারা সব হামলাকারিকে ধরতে পারবেন।
Be the first to comment